যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তান, নিন্দা নয়, ক্ষমা চান

গত বছর নভেম্বরে ইসলামাবাদে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জোট ডি-৮-এর শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানাতে ঢাকায় আসেন পাকিস্তানী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানী খার। তার কয়েক ঘন্টার সফরেই ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি আলোচনায় তুলে আনেন ততকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মণি।

কিন্তু জবাবে হিনা বলেন, দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পেছনের কথা ভুলে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

হিনা ঠিকই বলেছেন। সুসম্পর্কের জন্য পেছনের কথা ভুলেই যেতে হয়। কিন্তু তাহলে কি পৃথিবীর সব খুনিই খুন করে নিহতের পরিবারকে এই কথাই শুনিয়ে যাবে? খুনি যদি খুনের ব্যাপারে একটুও অনুতপ্ত না হয়, তবুও।

দুঃখিত হিনা রব্বানী। পাকিস্তানে কি হয় জানি না। বাংলাদেশে এ ধরনের সুসম্পর্ক গড়ে তোলার ব্যাপারে আগ্রহী লোকের সংখ্যা হয়তো খুবই কম।

An Ode to Self (Puzzler-4)

'Shall I compare thee to a summer noon?'
'How hot? More than me?', you croon.
'Aha! How 'bout a rain cats and dogs?' Nay...
You don't wanna be wet a bit, I must say.
And if I tell you to hold my hand,
Nothing to guess, come, let's just bend,
To the huskiness of winter smog,
Anywhere in this forest where machines jog,
Nobody will find us, like a needle in the hay.
'Is it possible? In an era like this?' , you say.

To be or not to be, is no more a doubt. 
What to worry, is now to worry about.
Is there anything I can do for you?
Shan't I have the slightest clue?
How come! I'm in such a dirty mess!
And world is dancing in such lovely dress.
ক্ষমা তোমায় চাইতে হবে নামিয়ে মাথা


http://www.banglanews24.com/images/PhotoGallery/2013August/pkm220130803232406.jpg
















সালটা সম্ভবতঃ ২০০১। কলেজে পড়ি। সিলেট শহরে সাইবার ক্যাফে ধারণাটা সবে পরিচিত হতে শুরু করেছে। এক ঘণ্টা ২০ টাকা হারে চুটিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করার অফার দিলো এমনই এক ক্যাফে। ইন্টারনেটের আইডিয়াটা এতো লোভনীয় লাগতো যে, কলেজের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে হলেও মাঝেমাঝেই বন্ধুবান্ধব মিলে চলে যেতাম সাইবার ক্যাফেতে।

কাজ তো তেমন ছিলো না। আর ইন্টারনেটের যে স্পীড ছিলো, তাতে কয়েকটা পেজ ঘুরতেই সময় শেষের ঘণ্টা বেজে যেতো। এমনই এক কলেজ পালানোর দিনে ইয়াহু চ্যাটে কথা হচ্ছিলো ইসলামাবাদের কোনো এক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রীর সঙ্গে।

রাজনীতির মারপ্যাঁচ বোঝার মতো বুদ্ধি মাথায় তখনও ঢোকে নি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ কি জিনিস, এর ইতিহাসটা তো জানাই ছিলো। তাই একথা ওকথার পর জিজ্ঞেস করে বসলাম, ১৯৭১ সালে তোমাদের পাকসেনারা যে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারলো, মা-বোনদের ধর্ষণ করলো, এ বিষয়ে তোমার মন্তব্য কি?

উত্তর যা এলো, তা ছিলো আমার ধারণারও বাইরে।

এক যুগ আগের কথা হলেও পরিষ্কার মনে আছে, মেয়েটি বলেছিলো- তোমরা যা করেছো, তাতে এই শাস্তি তোমাদের প্রাপ্য।

কি এমন অপরাধ করেছিলাম আমরা?

ইসলামের সঙ্গে বেঈমানি করে পাকিস্তান ভেঙেছো।

বৃটিশ রাজপুত্র, আমাদের গোল্ডফিশ মেমোরি



দৃশ্যপট-:
স্থানঃ বাকিংহাম প্যালেস। তারিখঃ ২২ জুলাই
 

 
















জন্ম হয়েছে এক নতুন শিশুর। নবজাত এই রাজশিশুকে কোলে নিয়ে বাকিংহাম প্রাসাদে যাচ্ছেন প্রিন্স ডিউক অব ক্যামব্রিজ উইলিয়াম প্রিন্সেস ডাচেস অব ক্যামব্রিজ কেট মিডলটন। লন্ডনের পথে পথে মানুষের উল্লাস। অনেক দিন আগে থেকেই নাকি বিশ্ব অপেক্ষা করছিলো এই শিশুর জন্মের মূহুর্তটির জন্য। করবে নাই বা কেন? নবজাতক যে একসময় প্রায় সমগ্র বিশ্বকে গোলামে পরিণত করা রাজতন্ত্র ব্রিটেনের সিংহাসনের তৃতীয় উত্তরাধিকারী

জন্মের খবর জানার পর থেকে বাকিংহাম রাজপ্রাসাদের বাইরে ভিড় করেছে প্রচুর মানুষ। প্রাসাদের বাইরে নবজাতকের চেহারা এক নজর দেখার জন্য লম্বা লাইন পড়েছে

জন্ম তো হলো। এবার কি নাম হবে নবজাতকের? নিয়ে চলে আরো জল্পনাকল্পনা। উইলিয়াম-কেটের বংশধর ছেলে হবে না মেয়ে, এটা নিয়ে যেমন অনেক মানুষ বাজি লেগেছিলো, এবার নাম নিয়েও চলে বাজি। জর্জ, উইলিয়াম, জেমস, নাকি আলেক্সান্ডার? শেষ পর্যন্ত নাম ঠিক হয়, জর্জ আলেক্সান্ডার লুইস

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে থাকে অভিনন্দন বার্তা, নতুন রাজপুত্রের জন্য। শুভেচ্ছা পাঠানোর আতিশয্যে অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে যোগ দেয় বাংলাদেশও

আইন যখন প্রণেতার হাতে!
‘আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না’। বিটিভি আর বাংলা সিনেমার কল্যাণে এই বাক্যটুকু ছোটবেলা থেকেই মুখস্থ। আমরা আরো জানি, ভিলেন যখন নায়ককে পিটিয়ে লাশ বানিয়ে ফেলে, তখন পুলিশের কোন খোঁজ থাকে না। কিন্তু নায়ক যখন প্রাণ বাঁচাতে ‘ইয়া আলী’ বলে লাফিয়ে ওঠে, ঠিক তখনই হাজির হয় পুলিশ।

এমনই এক সিনেমার বাস্তব রূপ দেখা গেলো শনিবার পল্টনের মেহেরবা প্লাজায়। তবে যেহেতু সিনেমার মতো এখানে কোন স্ক্রিপ্ট ছিলো না, ছিলেন না কোন ডিরেক্টর, তাই ঘটনায় কিছুটা এদিক সেদিক হলো।

একজন ক্ষমতাশালী লোক দলবল নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে আসা দুই সংবাদকর্মীকে বেধড়ক পেটালেন। খবর পেয়ে অন্য সাংবাদিক এবং পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছুলো, ততক্ষণে সেই লোক আবার নিপাট ভদ্রলোক।

পুলিশ কিছু করলো না। করবে কিভাবে? ভদ্রলোকটি যে একজন আইন প্রণেতা। আইন কার হাতে থাকবে না থাকবে সেটা আইনশৃংখলা বাহিনী নিশ্চয়ই একজন আইনপ্রণেতাকে শেখাতে পারে না।